সঙ্গী চলার,
ফুচকা, মেলার,
ফাঁকি
আজ গেল দিয়ে।
ভাবলাম তাই,
বিদায় জানাই,
দূর
থেকে ফুল নিয়ে।
হয়নি সেআর,
শেষ দেখা তার,
ক’রে
ওরা পড়িমরি,
প্ল্যাস্টিকে
মুড়ে, বস্তায় পুরে,
নিয়ে
গেল বেঁধে দড়ি।
বাকি নেতাগুলো,
কষিয়ে শাসালো-
‘যদি
দেখি এক বারও,
দরজার ধারে,
গেটের এপারে,
রক্ষে
রবে না কারও।‘
শূন্য উঠোনে,
অসহায় কোণে,
পরিবার
বসে ভাবে,
যে যাওয়ার গেছে,
বাচ্চাটা আছে,
তার
ভাত কিসে পাবে?
বন্ধুর ঋণ,
মেটানো কঠিন,
তাও
যতটুকু গেল করা,
কিছুটা খাবার,
বাকিটা আবার,
শোকে
কাঁধ দিয়ে লড়া।
রিক্ত, নীরবে,
ফিরলাম সবে,
ফোন
বেজে ওঠে সুরে,
ধমকাল ছেলে,
‘কোন্ আক্কেলে
পাড়া
থেকে এলে ঘুরে?
শোনোনি খবরে?
শ্মশানে, কবরে
ভিড়
রোজ লেগে আছে।
দুনিয়া পাগল,
তুলেছে আগল,
সব
অযথা তোমার কাছে?
ভ্রান্তিতে
ছুঁলে, বেশী অবহেলে,
রোগ
ব্যামো পেলে শেষে,
পড়শিরা রেগে,
দলবেঁধে চেগে,
তালা
দেবে দোরে এসে।‘
বকাঝকা হলে,
টাটা-বাই বলে,
কোনোমতে
হাঁফ ছেড়ে,
গৃহিণী বিমুখ,
হাঁড়ি হয়ে মুখ,
ঘরে
দেখি উঁকি মেরে।
অভিমানী মেয়ে,
মোবাইলে চেয়ে,
বল্লে
যে- ‘তুমি বড়,
এত সাধাসাধি,
নিষেধের বিধি,
কেন
তাও জেদ করো?’
একগুঁয়ে আমি,
এই ভেবে থামি,
ব্যাধি
যায় ব্যাধি আসে,
কী যাবে রয়ে?
অবিরাম ক্ষয়ে,
সাথী
না থাকলে পাশে-
কাজ সেরে শুয়ে,
তারায় তাকিয়ে,
বাকি
ঘুম ফেলে রেখে,
দুই ফোঁটা জল,
দুখের আঁচল,
মিশে গেল চাঁদ মেখে।।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
আপনাদের মূল্যবান প্রতিক্রিয়া জানান